• " />

     

    ওয়াকারকে "আপদ" বলেছিলেন শেহজাদ!

    ওয়াকারকে "আপদ" বলেছিলেন শেহজাদ!    

    বিতর্ক যেন পাকিস্তান ক্রিকেটের পিছুই ছাড়ছে না। সারা বছর বিভিন্ন কোন্দলে জড়িয়ে থাকা উপমহাদেশের এই ক্রিকেট দলের সাথে যোগ হয়েছে নতুন আরেকটি বিতর্ক। আর এবারের বোমাটি ফাটালেন পিসিবি’র সাবেক চেয়ারম্যান ইজাজ বাট। তিনি ভারতের এক সংবাদপত্রকে জানান যে ‘১৫ বিশ্বকাপের আগে সাময়িকভাবে পাকিস্তান কোচ ওয়াকার ইউনিসের পদত্যাগের মূল কারণ ছিল আহমেদ শেহজাদের অশোভন আচরণ।

     

    বিশ্বকাপের আগে বিদেশের মাটিতে সিরিজ খেলার সময়ে শেহজাদের সাথে বাগড়া বাধে কোচ ইউনিসের। আর এতেই শেহজাদ ক্ষেপে গিয়ে কোচের সাথে বাজে আচরণ করেন এবং এক পর্যায়ে তাঁকে দলের ‘আপদ’ বলে সম্বোধন করেন। ওয়াকারও তাঁর পাল্টা জবাব দেন। অতঃপর দলের তৎকালীন ম্যানেজার নাভিদ আকরাম ঘটনাটি বোর্ডকে জানলে ইউনিস পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।

     

    ইজাজ বাট কোচ ওয়াকারের পদত্যাগের ঘটনাটি প্রথম জেনেছিলেন বর্তমান পিসিবি চেয়ারম্যানের কাছ থেকেই। তাঁর ভাষ্য মতে, “পিসিবি চেয়ারম্যান শাহারিয়ার খান আমাকে ব্যাপারটি জানায় এবং ওয়াকার পদত্যাগ পত্র জমা দেয়ার পর আমাকে তাঁর সাথে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেছিলেন যাতে ওয়াকার তাঁর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। আমি ওয়াকারের সাথে এ নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। এবং তাঁকে জানিয়েছিলাম যে এটা তাঁর পদত্যাগের সঠিক সময় ছিল না।”

     

     

    কোচের সাথে কথা বলার পাশাপাশি সাবেক চেয়ারম্যান কথা বলেছিলেন বিতর্কের সাথে জড়িত আহমেদ শেহজাদের সাথেও, “আমি তাঁকে ভালো আচরণ ও একটি ভালো ক্যারিয়ার গড়ার জন্য উপদেশ দিয়েছি। একই সাথে তাঁকে জানিয়েছি যে সে অনেক বেশী আফ্রিদির দ্বারা প্ররোচিত হচ্ছে।” আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে ওয়াকারের সাথে শেহজাদ ও উমর আকমল সহ কয়েকজন ক্রিকেটারের দ্বন্দ্ব নিয়ে বিশ্বকাপের সময় অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন পত্রিকা রিপোর্ট করেছিল।

     

    বিশ্বকাপের পর অধিনায়ক মিসবাহ ও কোচ ওয়াকার বোর্ডেকে পরামর্শ দিয়েছিল উমর ও শেহজাদকে দল থেকে বাদ দেয়ার জন্য এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁদের আচরণের উন্নতি করতে। তাই আপাতত ঘরোয়া ক্রিকেটে এই দুই ক্রিকেটারের আচরণ ও ডিসিপ্লিন পর্যবেক্ষনে রাখছে পিসিবি।  তবে এরই মধ্যে শেহজাদকে পাকিস্তান টি-২০ লিগে তাঁর দল লাহোর লায়ন্সের বাজের পার্ফরমেন্সের জন্য জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তাছাড়া জাতীয় দলের অধিনায়ক আজহার আলীর সাথে তাঁর বিবাদে জড়ানোর কথাও শোনা যাচ্ছে। তবে শেহজাদ বলছেন, তিনি এমন কিছুই করেন নি এবং তদন্তের জন্যেও প্রস্তুত আছেন।