• " />

     

    সাকিব নায়ক, সাকিবই খলনায়ক!

    সাকিব নায়ক, সাকিবই খলনায়ক!    

    ব্যাট হাতে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান, বল হাতে ৩ উইকেট; ৬ রানে জেতা ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটাও তাঁর দখলে। নিরীহ স্কোরকার্ডটা যতটুকু তথ্য দিচ্ছে তাতে সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে আপনি আরও একবার মুগ্ধ হতে বাধ্য। কিন্তু টিভি পর্দায় যারা ম্যাচটি দেখেছেন তাঁদের বেশীরভাগের মধ্যেই সাকিবের ব্যাটে-বলে নৈপুণ্য মুগ্ধতা ছড়াতে পারে নি। বরং প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় আর আম্পায়ারের প্রতি ব্যাক্তি সাকিবের ‘অশোভন’ আচরণই দিনশেষে মুখ্য হয়ে উঠেছে, চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়; দাবী উঠেছে তাঁকে শাস্তিস্বরূপ এক বা একাধিক ম্যাচ নিষিদ্ধ করারও। পরে সেই শাস্তিও পেয়েছেন,  ম্যাচে অভব্য আচরণের জন্য এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক সাকিব । আজ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের সঙ্গে ম্যাচে তাই মাঠে নামতে পারবেন না সাকিব। 

     

     

    সিলেট সুপারস্টার্সের বিপক্ষে বিপিএলের আজকের ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে সাকিবের রংপুর রাইডার্স। বেহাল উইকেটে নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ৯ উইকেটে ১০৯ রান তুলতে সক্ষম হয় দলটি। সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। সাকিবের উইকেটটি সহ মোট ৪টি উইকেট দখলে নেন সিলেটের পেসার মোহাম্মদ শহীদ।

     

    ঘটনা এক

     

    সীমিত পুঁজি নিয়ে বল করতে নেমে প্রথম ওভারেই জসুয়া কবকে ফেরান সাকিব। দুই ওভার বাদে বোলিংয়ে ফিরে পেরেরার তালুবন্দী করেন দিলশান মুনাবীরাকেও। কিন্তু এ যাত্রায় তাঁর উদযাপনটা ছিল যথেষ্টই দৃষ্টিকটু। ক্যামেরায় বেশ স্পষ্টই বোঝা গেলো আউট হয়ে যাওয়া ব্যাটসম্যানকে অশ্লীল কোন গালি দিচ্ছেন সাকিব।

     

    ঘটনা দুই

     

    রংপুরের হয়ে ত্রয়োদশ ওভারের বল করছিলেন থিসারা পেরেরা। শেষ ডেলিভারিটা মুশফিকুর রহিমের ব্যাট-গ্লাভসের খুব কাছ ঘেঁষে (কিংবা ছুঁয়ে) উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ মিথুনের তালুবন্দী হয়। বল ধরেই উল্লাসে মাতেন মিথুন, কট বিহাইন্ডের আবেদনে সরব হন বোলার পেরেরাসহ সতীর্থ ফিল্ডাররা। কিন্তু আম্পায়ার তানভীর আহমেদ সে আবেদনে সাড়া দেন নি। এ সময় এগিয়ে গিয়ে আম্পায়ারের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে দেখা যায় সাকিবকে।

     


     

    ক্যামেরার চোখে সাকিবের মুখভঙ্গি যতটুকু বোঝা গেলো তাতে কথোপকথনের ভাষা যে খুব শোভনীয় ছিল না তা বলাই বাহুল্য। আম্পায়ার তানভীর আহমেদও এ সময় পাল্টা কিছু বলতে গেলে অপর আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

     

    অবশ্য ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে কোন কথা বলতে রাজী হন নি দেশসেরা এই অলরাউন্ডার।