• " />

     

    একেই বলে টেস্ট ক্রিকেট!

    একেই বলে টেস্ট ক্রিকেট!    

    বছরের শুরুটা হয়েছিল ৩১ বলে সেঞ্চুরি করে। এবি ডি ভিলিয়ার্স কি তখন ভেবেছিলেন, বছরের শেষটা হবে এরকম একটা ইনিংস খেলে? ৯১ বলে ১১ রান করে অপরাজিত আছেন কোটলা টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে। ওপাশে হাশিম আমলার স্কোরটা আরও চমকে দেওয়ার মতো, ২০৭ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত! দক্ষিণ আফ্রিকাও ধৈর্যের চরম পরাকাষ্ঠাই দেখিয়েছে, ৭২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে করেছে ৭২!  

     

    টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের এই যুগে টেস্টেও এখন ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ের আঁচ লাগতে শুরু করেছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা আরও একবার দেখাল, টেস্ট ক্রিকেটের সনাতন সৌন্দর্যের আবেদন এখনই যাওয়ার নয়। ক্রিজে মাটি কামড়ে পড়ে থাকার যুদ্ধে আমলা- ডি ভিলিয়ার্স তাই তালিই পাবেন। দুজনেই ক্যারিয়ারে অনেক রান করেছেন, তবে আজ যেসব রেকর্ড ভেঙ্গেছেন সেটা হয়তো ভাবেনও নি। টেস্টে এক ইনিংসে ২০০ বল খেলে সবচেয়ে কম স্ট্রাইক রেট (১১.১১) আমলার। আর ২০০২ সালের পর প্রথম ৫০ ওভার খেলে সবচেয়ে কম রানও দক্ষিণ আফ্রিকার।

     

    চতুর্থ ইনিংসে ৪৮১ রান রান তাড়া করাটা একরকম অক্সিজেন ছাড়া এভারেস্টে চড়ার মতোই। বিশেষ করে, এই সিরিজে তো কথাই নেই। দক্ষিণ আফ্রিকা সেটা করার তাই চেষ্টাই করলো না। শুরু থেকেই বন্দি খোলসে। ডি ভিলিয়ার্স যেমন ৩৫তম বলে গিয়ে পেলেন নিজের প্রথম রান। আর আমলা প্রথম রান করতে অপেক্ষা করেছেন ৪৬তম বল পর্যন্ত!

     

    ইনিংসের শুরতেই এলগার আউট হয়ে যাবার পর 'ব্লক্যাথন'-এর শুরুটা করেছিলেন বাভুমা আর আমলা। দুজন মিলে ৩৯ ওভারে করেছিলেন ৪৩ রান। এরপর অশ্বিনের দারুণ এক ডেলিভারিতে ফিরে গেছেন বাভুমা। কিন্তু ডি ভিলিয়ার্সকে নিয়ে দিনের বাকিসময়ে অশ্বিনদের হতাশ করে গেছেন আমলা। এক দুই বার খোঁচাও দিয়েছিলেন, কিন্তু সেগুলো ধরতে পারেনি ভারত ফিল্ডাররা। তবে কাজটা এখনও কিছুই শেষ হয়নি, কাল সারাদিন কাটিয়ে দেওয়ার প্রায় অসম্ভব কাজ দু'জনের সামনে।

     

    সেটা করতে পারলে কাজটা হবে জয়ের সমানই!