• " />

     

    বাংলাদেশের ফিফটি ছোঁয়ার দিন

    বাংলাদেশের ফিফটি ছোঁয়ার দিন    

    ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর। খুলনার বিভাগীয় স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ও আন্তর্জাতিকভাবে নবম টিটোয়েন্টি ম্যাচটি খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। শাহরিয়ার নাফীসের দল সেটি জিতে নিয়েছিল ৪৩ রানে। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে নিজেদের দশম বছরে পদার্পণ করা বাংলাদেশ আজ খেলতে যাচ্ছে পঞ্চাশতম টিটোয়েন্টি, প্রতিপক্ষ সেই জিম্বাবুয়ে, ভেন্যুও খুলনার সেই বিভাগীয় স্টেডিয়ামই- নাম বদলে যেটি এখন শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম।

     

    একদিনের ক্রিকেটে টাইগাররা উন্নতির সূচকে ধারাবাহিক অগ্রগতি দেখাচ্ছে গত বিশ্বকাপের মাঠ থেকেই। সময়ে সময়ে নিয়মিত সাফল্য আসছে আরও আগে থেকে। কিন্তু কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে মাশরাফি-সাকিবরা এখনও পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে সামর্থ্যের জানান দিয়ে আসতে পারেন নি। এ পর্যন্ত খেলা ৪৯টি টিটোয়েন্টি থেকে মাত্র ১৫টি জয়ই বলে দেয় ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে টাইগারদের দুর্দশার স্বরূপ।

     

    দু' দলেরই প্রথম টিটোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে বাংলাদেশের অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফীসকে বোল্ড করে ক্যারিয়ারের প্রথম টিটোয়েন্টি উইকেট তুলে নেন জিম্বাবুয়ের বর্তমান অধিনায়ক অ্যাল্টন চিগুম্বুরা

     

    সে ১৫টি জয়ের ৭টিই আবার আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর বিরুদ্ধে। ৫টি জয় জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে, ২টি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ১টি পাকিস্তানের বিপক্ষে। বাকি টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর বিপক্ষে টিটোয়েন্টিতে কোন জয় নেই টাইগারদের; দুই সহযোগী সদস্য হংকং আর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে একটি করে ম্যাচ খেলেও পরাজিত দলের নাম বাংলাদেশ।

     

    এক নজরে বাংলাদেশের টিটোয়েন্টি পরিসংখ্যান

    প্রতিপক্ষ ম্যাচ সংখ্যা জয় পরাজয়
    আফগানিস্তান
    অস্ট্রেলিয়া
    হংকং
    ভারত
    আয়ারল্যান্ড
    কেনিয়া
    নেপাল
    নেদারল্যান্ড
    নিউজিল্যান্ড
    পাকিস্তান
    স্কটল্যান্ড
    দ. আফ্রিকা
    শ্রীলংকা
    ওয়েস্ট ইন্ডিজ
    জিম্বাবুয়ে

     

    টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে টিটোয়েন্টি খেলার দিক থেকে বাংলাদেশের পিছনে আছে কেবল জিম্বাবুয়ে। আজ বাংলাদেশের ৫০তম ম্যাচটি জিম্বাবুয়ের জন্য হবে ৪৮তম। অন্য দেশগুলোর মধ্যে ম্যাচ সংখ্যায় বাংলাদেশের কাছাকাছি অবস্থানে আছে ভারত, ম্যাচ খেলেছে ৫৭টি। বাকি টেস্ট খেলুড়ে দলগুলো খেলেছে ৭০টির বেশী করে ম্যাচ। সবচেয়ে বেশী খেলা পাকিস্তান আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলছে নিজেদের ৯৮তম ম্যাচ।

     

    টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোত মধ্যে টিটোয়েন্টি সাফল্য বিচারে সবার উপরে আছে দ. আফ্রিকা। তাঁদের জয়ের হার ৬০.৪৯। দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তান জিতেছে ৬০.৩০ শতাংশ ম্যাচ। ৬০ শতাংশের উপর জয়ের হার আছে আর মাত্র দুটো দলের, দুটোই আইসিসির সহযোগী সদস্য। ৩ ম্যাচ খেলে ২টি জিতে সবচেয়ে বেশী সাফল্যের হার পাপুয়া নিউগিনির, ৬৬.৬৬ শতাংশ। ৩৮ ম্যাচ খেলে আফগানিস্তানের জয়ের হার ৬০.৫২ শতাংশ। বাংলাদেশের জয়ের হার ৩১.২৫ ও জিম্বাবুয়ের ২০.২১ শতাংশ।