• " />

     

    ওয়ানডে খেলতে শিখেছে ইংল্যান্ড!

    ওয়ানডে খেলতে শিখেছে ইংল্যান্ড!    

    বিশ্বকাপের পর ইংল্যান্ড জুড়ে তুমুল সমালোচনা- এই ইংল্যান্ড ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে পারে না। এর মধ্যে ইসিবিতে পরিচালক হয়ে এলেন অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস। ইংল্যান্ড দলে এলো আমূল পরিবর্তন- টেস্ট দলের অপরিহার্য জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রড, ইয়ান বেল, মঈন আলীদের ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হলো। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজটা অনেক কিছুই প্রমাণের ছিল। শেষ পর্যন্ত এই ইংল্যান্ড দেখিয়ে দিল, তারাও ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে জানে। এই মুহূর্তে ওয়ানডের অন্যতম সেরা দলকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জেতার পর এটা না মেনে উপায় নেই।

     

    ২-২ সমতার পর আজ চেস্টার লি স্ট্রিটের ম্যাচটা ছিল সিরিজ নির্ধারণী। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম ওভারেই আউট ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। এরপর মার্টিন গাপটিল ও কেন উইলিয়ামসন বড় স্কোরের ইঙ্গিত দিলেও  খুব বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি। একটা সময় ২১৯ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মনে হচ্ছিল নিউজিল্যান্ড এই প্রথম সিরিজে ৩০০র কমে থেমে যাবে। শেষ পর্যন্ত সেটা পারেনি, তবে কাছাকাছি যাওয়ার কৃতিত্বটা হুইলারের। ২৮ বলে ৩৯ রান করে দলকে নিয়ে গেছেন ২৮৩ রানে।

     

     

    আগের ম্যাচেই ৩৪৮ রান তাড়া করে হেসেখেলে জিতেছে ইংল্যান্ড। কিন্তু আজ আবার বৃষ্টির উপদ্রবে টি-টোয়েন্টির লক্ষ্য দাঁড়িয়ে গেল তাদের সামনে। ২৬ ওভারে করতে হবে ১৯২। কিন্তু শুরুতেই একের পর এক উইকেট হারানোয় মনে হচ্ছিল সিরিজটা হেরেই যাবে ইংল্যান্ড। ৪৫ রানের মাথায় পড়ে যায় ৫ উইকেট। সেখান থেকে নায়ক এমন একজন, আজ যার দলে থাকারই কথা ছিল না। জস বাটলারের চোটে দলে আসেন জনি বেয়ারস্টো, ৬০ বলে ৮২ রানের হার না মানা ইনিংসে দলকে পাইয়ে দিয়েছেন দুর্দান্ত এক জয়। ৩০ বলে ৪০ রান করে যোগ্য সং দিয়েছেন বিলিংস। ইংল্যান্ড জিতেছে ১ ওভার বাকি থাকতেই।