• সেরা ফুটবল ক্লাব
  • " />

     

    কীর্তিময় ক্লাবকাহিনী ৪: হেরেরার "কাতানেচ্চিও" ও বদলে যাওয়া ইন্টার

    কীর্তিময় ক্লাবকাহিনী ৪: হেরেরার "কাতানেচ্চিও" ও বদলে যাওয়া ইন্টার    

     

    ২০০৪ সালে বিখ্যাত ব্রিটিশ পত্রিকা 'দি অবজার্ভার' মৃত্যুর আগে দেখে যাওয়া উচিৎ এমন ৫০ টি খেলাধুলা বিষয়ক ঘটনার তালিকা করে। তালিকার শীর্ষস্থান দখল করেছিল বুয়েন্স আইরেস শহরের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই ফুটবল ক্লাব বোকা জুনিয়র্স ও রিভারপ্লেটের ডার্বি ম্যাচ 'সুপার ক্লাসিকো'। শহরটা খেলাধুলার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সুপার ক্লাসিকো নয়; ফুটবল, বক্সিং, ঘোড়দৌড়, টেনিস, ফর্মুলা ওয়ানের বিখ্যাত সব কিংবদন্তীর আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত। আজকের গল্পটা সুপার ক্লাসিকো বা দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখানো কোন খেলোয়াড়কে নিয়ে নয়, গল্পটা বুয়েন্স আইরেসে জন্ম নেওয়া তেমনি এক কিংবদন্তিকে নিয়ে।

     

    ১৯১০ সালে এক নির্বাসিত স্প্যানিশ পরিবারে জন্মগ্রহণ করা এই ভদ্রলোকের নাম হেলেনিও হেরেরা গ্যাভিলান। বাবা ছিলেন জেনারেল ফ্র্যাঙ্কোর বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বড় নেতা। কিন্তু ফ্র্যাঙ্কোর কারণে পরিবারসহ নির্বাসিত হতে হয় তাকে। 

     

     

    রক্ষণ থেকে রক্ষণাত্মক

     

     

    ১৯৩১ সালে মরক্কোর কাসাব্লাঙ্কা ক্লাবে ফুলব্যাক হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা হেরেরা পরবর্তীতে খেলেছিলেন ফ্রান্সের বিভিন্ন ক্লাবে। বিশ্বযুদ্ধের কারণে সমসাময়িক অনেক খেলোয়াড়ের মতই খেলোয়াড়ি জীবন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১৯৪৪ সালে খেলোয়াড় হিসেবে অবসর নেন তিনি।

     

    ফ্রান্সের পুটো ক্লাবের হয়ে সূচনা হয় ম্যানেজার হিসেবে। তারপর স্তাদে ফ্রান্স, রিয়াল ভালাদোলিদ হয়ে যোগদান করেন অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদে। ১৯৫০ আর ৫১-তে পরপর দু'বার লীগ জেতান লাল-সাদাদের। মাদ্রিদে থাকাকালীন সৃষ্টিশীল ররক্ষণাত্মক কোচ হিসেবে ইউরোপের ফুটবলে তাঁর নাম আর দলের সাফল্য প্রশংসা কুড়াতে থাকে।

     

    কিন্তু কিছুদিন পরেই মাদ্রিদ ছেড়ে যাযাবরের মত ম্যানেজার হিসেবে ঘুরতে থাকেন মালাগা, সেভিয়া বা লিসবনের মত ক্লাবগুলোয়। তারপর হঠাৎ করেই যোগ দেন স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনায়। হয়তো তাঁর উত্থান শুরু হয়েছিল মাদ্রিদে, কিন্তু তাঁর ব্যক্তিত্ব এবং প্রশিক্ষণ কৌশল কিংবদন্তীর পথে যাত্রা শুরু করে কাতালোনিয়ায় - এমন এক অঞ্চল যা বরাবরই ফ্র্যাঙ্কোর শাসনের বিরোধিতা করে এসেছে প্রবলভাবে।

     

    হেরেরার রক্ষণ এবং প্রতি-আক্রমণ কৌশল শিল্পের ছোঁয়া পায় লুইস সুয়ারেজ, স্যান্দর ককসিস এবং কুবালার মাধ্যমে। স্পেন এবং ইউরোপে সর্বজয়ী রিয়াল মাদ্রিদের প্রবল আধিপত্য থাকা সত্ত্বেও বার্সাকে টানা দু'বার লা লিগা জেতান ১৯৫৯ এবং '৬০ সালে; সাথে একবার কোপা দেল রে আর দুবার ফেয়ার্স কাপ (যা পরবর্তীতে উয়েফা কাপ হিসেবে পরিচিতি পায়)।

     

    এই দুই মৌসুমে লিগে ১৮২ গোল করে বার্সা, সাথে হেরেরার অধীনে নিজেদের পরিণত করে স্পেনের পরাশক্তিতে। কিন্তু ১৯৬০ ইউরোপিয়ান কাপ সেমিফাইনালে রিয়ালের কাছে হারার পর বরখাস্ত হন হেরেরা, তবে বলা হয়, কুবালার সাথে মনোমালিন্যর ভূমিকা ছিল এর পেছনে।

     

     

    "তোমরা সেরা খেলোয়াড় কিন্তু আমি তোমাদের বস"

     

     

    বার্সেলোনা থেকে বরখাস্ত হবার সপ্তাহ না পেরোতেই ইন্টার মিলান হেরেরাকে প্রস্তাব দেয় এবং তিনি সাগ্রহে রাজি হন। সেসময়ের ম্যানেজার হিসেবে অভাবনীয় বেতনে মরিয়া ইন্টার মিলান তাঁর সাথে চুক্তি করে কারণ মিলানে তখন প্রায় ৭ বছরের শিরোপাখরা চলছে। ক্লাব প্রেসিডেন্ট অ্যাঞ্জেলো মোরাত্তিকে তিনি কথা দিয়েছিলেন শিরোপা উপহার দেবেন।

     

    “The first task is to get to know the players really well-watching them as individuals in training and in match play-to see what is good in their natural game. Then, and only then, can we begin to outline the general tactics” - Helenio Herrera

     

    হেরেরা প্রথমেই তাঁর বার্সা ক্যারিয়ারের মিডফিল্ড জেনারেল লুইস সুয়ারেজকে দলে ভেড়ান। তারপর নিজের কৌশল অনুযায়ী কাজ শুরু করেন। পুরোদস্তুর নিয়মানুবর্তিতা এবং কঠোর শাসন ছিল হেরেরার মূলমন্ত্র। অনুশীলন বাদেও খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত জীবনকেও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেন। তারা কি খাবে, কখন খাবে, কতক্ষণ ঘুমাবে, কখন অনুশীলন করবে, সবকিছুকে ছকের ভেতরে নিয়ে আসেন। নিষিদ্ধ করেন ধূমপান। উদ্ভাবন করেন 'রিটিরো' নামক কৌশলের, এ কৌশল ছিল, ম্যাচের দুই দিন আগেই খেলোয়াড়দের মনোযোগ যাতে নষ্ট না হয়, তাদের শহরের বাইরে নিয়ে অনুশীলন করাতেন। নিয়মিত ক্লাব কর্মীদের খেলোয়াড়দের বাসায় পাঠাতেন তারা ঘুমানোর সময়ে অন্য কিছু বা বাইরে আছে কিনা দেখার জন্য।

     

    হেরেরা এমনি স্বাধীনচেতা ছিলেন যে, এক খেলোয়াড়কে সাসপেন্ড করেছিলেন, রোমার সাথে প্রাক-ম্যাচ প্রেস কনফারেন্সে ''আমরা রোমে জিততে এসেছি'' এর পরিবর্তে ''আমরা রোমে খেলতে এসেছি'' বলার কারণে।

     

    এর পাশাপাশি রাশভারী মানুষ হিসেবে খ্যাত হেরেরা মানসিক দিক দিয়ে খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করার কৌশল উদ্ভাবন করেন। সারাক্ষণ খেলোয়াড়দের অনুপ্রেরণা দিতেন। অনুশীলনের সময়ে তাঁর করা বিভিন্ন উক্তি আজকের দিনেও ব্যবহৃত হয়। খেলোয়াড়রা সমস্বরে এসব স্লোগান আওড়াতে আওড়াতে অনুশীলন করত। মাঠের চারপাশে বিলবোর্ডে এগুলো লাগানো থাকতো।

     

    ''যে খেলোয়াড় নিজের সবটুকু ঢেলে দেয় না, সে আসলে কিছুই দেয় না''

    ''১০ জন নিয়ে আমাদের দল বরং ১১ জনের চেয়ে বেশি ভাল খেলে'' (এক ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জন নিয়ে খেলার সময়)

    "Class+Preparation+ Intelligence + Athleticism = Championship"

     

     

    দর্শকদের দলের দ্বাদশ খেলোয়াড় বলতেন তিনি। এটা পরোক্ষভাবে ষাটের দশকের শেষদিকে 'আল্ট্রাস' বা উগ্রপন্থী সমর্থক আন্দোলনের জন্ম দেয়।   

     

    যদিও খেলোয়াড়দের অনেকেই গোপনে তাঁর সামরিক শাসন ধরণের এসব কৌশলে নাখোশ ছিল, ধীরে ধীরে সেসব ছাপিয়ে নেরাজ্জুরিদের একতাবদ্ধ একটি দল হিসেবে গড়ে তোলেন হেরেরা। ইন্টারকে পরিণত করেন ইউরোপের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দলে।

     

     

    কাতানেচ্চিও এবং বদলে দেওয়া ফুটবল

     

     

    অস্ট্রিয়ান কোচ কার্ল রাপ্পান ১৯৩০'র দশকে আবিষ্কার করেন 'ভের‍্যু' (দরজা বন্ধ) পদ্ধতি। ইতালিতে জিওসেপ্পে ভিয়ানি চল্লিশের দশকে এই কৌশল প্রথম ব্যবহার করলেও এসি মিলানের কোচ রোকো এবং হেরেরার ইন্টার এই কৌশলকে মূলধারার ফুটবলে জনপ্রিয় এবং নির্ভরযোগ্য করতে সাহায্য করেন। 'ভের‍্যু' বা সেসময়ে সিরি-আ তে ব্যবহৃত রক্ষণাত্মক  কৌশলকে কিছুটা পরিবর্তন করে হেলেনিও হেরেরা তৈরি করেন 'কাতানেচ্চিও' পদ্ধতি।

     

     

    এই পদ্ধতিতে ৫-৩-২ ফর্মেশনে দলকে খেলান তিনি, যেখানে কাউন্টার অ্যাটাকের প্রতি গুরুত্ব বেশি দেওয়া হত। রাপ্পানের পদ্ধতিতে ৪ জন ডিফেন্ডার ম্যান টু ম্যান মার্ক করে খেলত এবং একজন প্লেমেকার দুই উইংয়ে বলের যোগান দিত। কিন্তু হেরেরা পঞ্চম ডিফেন্ডারের উদ্ভাবন করেন, যে দুই সেন্টার ব্যাকের পেছনে লিবেরো বা সুইপার হিসেবে খেলে। সুইপার ডিফেন্ডার সাধারণত ফ্রি রোলে খেলে এবং বিপক্ষ দলের কোন ফরোয়ার্ড দুই সেন্টার ব্যাকের বাধা অতিক্রম করলে রক্ষণের শেষ প্রহরী হিসেবে তাকে আটকায়। 

     

    হেরেরার দলে গোলকিপার ছিলেন সার্তি, সুইপার ছিলেন অধিনায়ক আরমান্দো পিচ্চি, ফুলব্যাকে টারচিসিও বার্গনিক এবং জিয়াসিন্টো ফ্যাচেত্তি, সেন্টার ব্যাকে গুয়ের্নারি এবং টানিন। প্লেমেকার পজিশনে খেলতেন লুইস সুয়ারেজ; লেফট মিডফিল্ডার ছিলেন করসো, উইংয়ে জাইর। সান্দ্রো মাযোরলা ইনসাইড রাইটে এবং মিলানি ছিলেন ফরোয়ার্ড।

     

    রক্ষণাত্মক দর্শনে বিশ্বাসী হলেও কাতানেচ্চিওকে হেরেরা কিছুটা ভিন্নদৃষ্টিতে ব্যবহার করেন। তিনি ফুলব্যাক, বিশেষ করে, ফ্যাচেত্তিকে হাফব্যাক হিসেবে ব্যবহার করতেন দ্রুতগতির কাউন্টার অ্যাটাকের জন্য। ফ্যাচেত্তি আক্রমণে সুয়ারেজ এবং মাযোরলাকে বাড়তি শক্তি যোগাতেন। সেসময় সুইপার পিচ্চি রক্ষণে ফাঁকা জায়গা পূরণ করতেন। তবে পিচ্চি মূলত ফ্রি রোলে খেলতেন। তবে হেরেরা কখনই অস্বীকার করেননি, তাঁর দলের ফুসফুস হল রক্ষণভাগ।

     

    তাঁর মতে, কাতানেচ্চিওর মূল দর্শন হল রক্ষণভাগ দৃঢ় রাখা। এক গোল বেশি দেওয়ার চেয়ে ১ গোল কম হজম করা গুরুত্বপূর্ণ - এটাই কাতানেচ্চিও। 

     

     

    লা গ্রান্দে ইন্টার - সাফল্য লুটায় নায়কের পায়ে

     

     

    হেরেরার কাতানেচ্চিওর বদৌলতে সিরি-আতে প্রথম মৌসুমে তৃতীয়, পরের মৌসুমে দ্বিতীয় হলেও ১৯৬৩ সালে তৃতীয় মৌসুমে এসে ৯ বছর পর প্রথম স্কুডেট্টো জিতে নেয় ইন্টার। ১৯৬৪ সালে ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনালে স্তেফানো-পুসকাসের মহাপরাক্রমশালী রিয়াল মাদ্রিদকে মাযোরলার দুই গোলে ৩-১ এ হারিয়ে প্রথমবার শিরোপার স্বাদ নেয়। পরে ইনদিপেনদিয়েন্তেকে হারিয়ে জিতে নেয় ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ।

     

     

    ১৯৬৫-তে আরেক ধাপ ওপরে ওঠে হেরেরার শিষ্যরা। স্কুডেট্টো জয়ের পাশাপাশি ইউসেবিওর বেনফিকাকে জাইরের একমাত্র গোলে হারিয়ে ইউরোপিয়ান কাপও ধরে রেখে ডাবল জেতে নেরাজ্জুরিরা। আর আবারও ইনদিপেনদিয়েন্তেকে ফাইনালে হারিয়ে জিতে নেয় ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ।

     

    ১৯৬৬-তে আরেকবার স্কুডেট্টো জিতে স্বর্ণালি প্রজন্মের শিরোপা জয়ের ধারা অব্যাহত রাখে ইন্টার। এত সব সাফল্য ধরা দিলেও হেরেরার ইন্টার মিলান ইউরোপে আলোচিত-প্রশংসিত হয়েছিল শিরোপার জন্য নয়,  বরং তাদের খেলার ধরণের কারণে।

     

    হেরেরা মাঝেমাঝে রবিবারের খেলাগুলো নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করতেন এবং বেশিরভাগ সময় তা মিলে যেত। সেজন্য ইতালিয়ান সাংবাদিকরা তাকে নাম দেয় 'il Mago' বা 'দি উইজার্ড' । আবার অনেকেই কাতানেচ্চিও উদ্ভাবনের কারণে তাকে নেতিবাচক চরিত্র হিসেবে দেখতেন এবং ভাবতেন, তাঁর অসাধারণ ফলাফলের পেছনে আছে কালোজাদু। এ কারণেও তাকে 'দি উইজার্ড' বলা হয়ে থাকতে পারে বলে অনেকের ধারণা।

     

    হেরেরা ছিলেন প্রথম ম্যানেজার যাকে দলের সাফল্যের পেছনে প্রধান চরিত্র হিসেবে সম্মান দেওয়া হয়। সেসময়ে ফুটবলে ম্যানেজাররা ছিলেন পার্শ্বীয় চরিত্র। হেরেরা বিশ্ব ফুটবলের প্রথম সুপারস্টার ম্যানেজার হিসেবে আবির্ভূত হন। আগে সাধারণত দলের তারকা খেলোয়াড়দের নামে সেরা দলগুলোকে ডাকা হত। যেমন - স্তেফানোর মাদ্রিদ বা ইউসেবিওর বেনফিকা। কিন্তু এই নিয়ম ভেঙ্গে তাঁর দলকে ডাকা হত 'হেরেরার ইন্টার' নামে। তাঁর মতো সৃষ্টিশীল ম্যানেজার আর এসেছেন কিনা বলা কষ্টকর, ক্যারিয়ারে একের পর এক উদ্ভাবনী ক্ষমতার নজির দেখিয়ে গেছেন তিনি! 

     

    কাতানেচ্চিও নিয়ে নানা বিতর্ক থাকলেও ষাটের দশকে ইন্টার মিলানকে ইউরোপের সেরা প্রমাণে তা মূল শক্তি হিসেবে দারুণ কাজ করেছিল, এটা নিয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।

     

    খেলোয়াড়দের পুষ্টি, মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতে তাঁর নানা কৌশল এবং কাতানেচ্চিও পদ্ধতির উদ্ভাবক হিসেবে হেলেনিও হেরেরা মধ্য দুপুরের গনগনে সূর্যের মতই ভাস্বর থাকবেন ফুটবল বিবর্তনের ইতিহাসে! 

     

    এমন ম্যানেজার বারবার আসেন না, হেরেরাও এসেছিলেন একবার! কারো কাছে নায়ক, কারো কাছে খলনায়ক হয়েও ফুটবলকে বদলে দিয়েছিলেন অনেকটাই! 

     

     


     

    আরো পড়ুন :

     

    "বুসবি বেবস" ও একটি ট্র্যাজেডির গল্প

    রিয়ালের গ্যালাক্টিকো আর অন্তরালের ধ্রুবতারা - পর্ব ১

    রিয়ালের গ্যালাক্টিকো আর অন্তরালের ধ্রুবতারা - পর্ব ২

    রিয়ালের গ্যালাক্টিকো আর অন্তরালের ধ্রুবতারা - পর্ব ৩

    গুটমানের বেনফিকা ও একটি অভিশাপের গল্প