• অস্ট্রেলিয়ার নিউজিল্যান্ড সফর ২০১৬
  • " />

     

    জীবন পেয়েই অনন্য ম্যাককালাম!

    জীবন পেয়েই অনন্য ম্যাককালাম!    

    বীরভোগ্যা বসুন্ধরা বলে একটা কথা আছে। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম জানতেন, ভাগ্য সাহসীদের পক্ষেই থাকে। তবে শেষ টেস্টে সেটা এমনইভাবে পক্ষে থাকবে, ম্যাককালাম নিজেও বোধ হয় সেটা ভাবেননি। টেস্ট ক্রিকেটের দ্রুততম সেঞ্চুরি করার পথে অন্তত দুইবার যে প্রায় নিশ্চিত আউট থেকে বেঁচে গিয়েছেন!

     

    ৩২ রানের মাথায় যে সুযোগটা দিয়েছিলেন ম্যাককালাম, সেটা ধরা অবশ্য কঠিন ছিল। জেমস প্যাটিনসন ফিরতি বলে একটা আরেকটু হলেই ক্যাচটা নিয়েই ফেলেছিলেন। কিন্তু জোরে আসা বলটা শেষ পর্যন্ত হাতে রাখতে পারেননি।

     

    কী অদ্ভুত, ঠিক ৭ রান পরেই আবারও সেই দুর্ভাগা প্যাটিনসনই। এবারও ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন ম্যাককালাম, তবে গালিতে। মিচেল মার্শ দুর্দান্ত একটা ক্যাচও নিয়েছিলেন। কিন্তু পরে দেখা যায়, প্যাটিনসন পা দাগের বাইরে চলে গেছে। আম্পায়ার তাই নো বল ডাকলেন! অলৌকিকভাবে জীবন পেয়ে গেলেন ম্যাককালাম।

     

    এছাড়া অন্তত কয়েক বার আউট হতে পারতেন। বল ব্যাটে লেগে বেশ কয়েকবারই উঠে গিয়েছিল, দুইবার তো উইকেটকিপারের মাথার ওপর দিয়েই চলে যায় মাঠের বাইরে। ম্যাককালামের অবশ্য এসব নিয়ে ভাবতে বয়েই গেছে!

     

    ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে অবিশ্বাস্য এক কীর্তি গড়লেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ৫৪ বলে সেঞ্চুরি করে গড়ে ফেলেছেন টেস্ট ক্রিকেটের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড।

    Posted by Pavilion on Friday, February 19, 2016

     

    টেস্ট ক্রিকেট এর চেয়ে কম বলে সেঞ্চুরি আর দেখেনি। এর আগে ৫৬ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন ভিভ রিচার্ডস ও মিসবাহ উল হক। কিন্তু সেসবও এত বৈরি পরিস্থিতিতে করতে হয়নি। দল ভালো অবস্থানে যাওয়ার পরেই তারা কচুকাটা করেছিলেন বোলারদের। ম্যাককালামের ইনিংটা সেই দিক দিয়ে অনন্য। ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে দল যখন ধুঁকছিল, তখনই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন ম্যাককালাম। শেষ টেস্টেও এমন একটা ইনিংস খেলার পর বলতে পেরেছেন, "আমরা ঠিক করেছিলাম, আক্রমণই হওয়া উচিত রক্ষণের সেরা উপায়। এই উইকেটে যে কোনো বলেই আপনার অপমৃত্যু ঘটতে পারত।"