• বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ ২০১৫
  • " />

     

    মুমিনুলদের মোকাবেলায় 'সতর্ক' সুরেশ রায়না

    মুমিনুলদের মোকাবেলায় 'সতর্ক' সুরেশ রায়না    

    গত জুনের বাংলাদেশ সফরে ১-২ ব্যবধানে সিরিজ হারের স্মৃতিটা এখনও টাটকাই। সেই বাংলাদেশের ‘এ’ দল কাল থেকে শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হবে ভারতীয় ‘এ’ দলের। নামে ‘এ’ দল হলেও মুমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ স্কোয়াডের ১৫ জনের ১৪ জনই ইতোমধ্যে লাল-সবুজ জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ নিয়ে ফেলেছেন। বিপরীতে উন্মুক্ত চাঁদের নেতৃত্বে ঘোষিত ভারতীয় ‘এ’ দলের ওয়ানডে স্কোয়াডে সে অর্থে পরিচিত মুখ একটিই, সুরেশ রায়না। বাকিদের মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা আছে কেবল পাঁচজনের।

     

    এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে ব্যাঙ্গালুরুতে আগামীকালের প্রথম ওয়ানডের আগে সিরিজ নিয়ে সতর্ক প্রতিক্রিয়াই ব্যক্ত করলেন ভারত জাতীয় দলে একাধিকবার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা সুরেশ  রায়না, “তিনটা মানসম্পন্ন একদিনের ম্যাচ খেলতে পারাটা অবশ্যই ভালো কিছু। ইতিবাচক ফল পেতে হলে আমাদের আক্ষরিক অর্থেই ভালো খেলতে হবে, শৃঙ্খলা তো থাকতে হবেই।”

     

     

    আসছে মাসে ঘরের মাঠের দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রস্তুতি হিসেবে ম্যাচগুলোকে দেখলেও জুনের স্মৃতি রায়নাকে সাবধানী থাকতে বাধ্য করছে, “ভালো প্রস্তুতি হবে আশা করি। তবে এই ম্যাচগুলোকে আমি ঠিক প্রস্তুতি ম্যাচ বলতে পারছি না। গত জুনেই আমরা বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হেরেছি। অবশ্য আমাদের ‘এ’ দলও বিগত সিরিজগুলোতে বেশ ভালো করেছে। সবমিলিয়ে ভালো খেলার কোন বিকল্প নেই আমাদের সামনে।”

     

    বাংলাদেশ সফরের পর আর কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন নি রায়না। সে হিসেবেও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে নিজেকে বাজিয়ে দেখতে চাইছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, “খেলার মধ্যে থাকাটা আমাদের প্রয়োজন। বাংলাদেশ সিরিজের পর সেভাবে খেলার সুযোগ পাই নি। অনুশীলনের জন্য কিছু ক্লাব ক্রিকেট খেলেছি। কিন্তু এটা অনেক বড় একটা সুযোগ এবং আমি আশাবাদী। প্রচুর পরিশ্রম করেছি, বড় সিরিজের জন্য নিজের প্রস্তুত করছি।”

     

    সম্প্রতি ভারতীয় ‘এ’ দলের কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়। কিংবদন্তী এই ক্রিকেটারের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বাসটুকু গোপন করছেন না রায়না, “খুবই ভালো লাগছে তাঁর সাথে কাজ করতে পারছি বলে। তিনি যখন অধিনায়ক ছিলেন তখন আমি, রবিন উত্থাপ্পা, ইরফান পাঠানরা সবেমাত্র দলে ঢুকেছি। ওই সময় আমাদের মতো তরুণ ক্রিকেটারদের পিছনে তিনি প্রচুর সময় এবং শ্রম দিয়েছেন। এসব আপনার আত্মবিশ্বাসের জায়গাটা অনেক বড় করে দেয়। ভবিষ্যতেও তাঁর সাথে কাজ করতে চাইবো।”

     

     

    ক’দিন আগেই ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার ‘এ’ দল নিয়ে আয়োজিত ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতে নিয়েছে ভারতীয় ‘এ’ দল। সামর্থ্য, অভিজ্ঞতার বিচারে তাই উন্মুক্ত চাঁদ বাহিনীকে পিছিয়ে রাখার কোন সুযোগ নেই। অন্য দিকে আগামী মাসে স্বদেশে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ মাথায় রেখে বাংলাদেশও পাঠিয়েছে শক্তিশালী দল। মুমিনুল, সৌম্য, সাব্বির, রুবেল, তাসকিনরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে সিরিজটা যে উপভোগ্য হবে তা বলাই বাহুল্য।