• বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ ২০১৫
  • " />

     

    ওই দেখা যায় বাংলাওয়াশ!

    ওই দেখা যায় বাংলাওয়াশ!    

    প্রথম ওয়ানডেতে পারেনি, পারেনি দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও। কিছুতেই "মুস্তাফিজ-গেরো" খুলতে পারছেন না ধোনিরা।  মুস্তাফিজুর রহমান যেন ভারতের ব্যাটসম্যানদের কাছে এখন "ধাঁধার চেয়েও জটিল"। বাংলাদেশের ১৯ বছরের তরুণ পেসারের সামনে আরেকটি দুর্দান্ত হাতছানি, ওয়াকার ইউনিসের পর ওয়ানডে ইতিহাসের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টানা তিন ম্যাচে অন্তত পাঁচ উইকেট নেওয়ার। তার চেয়েও বড় হাতছানি বাংলাদেশের সামনে, প্রথমবারের মতো ভারতকে বাংলাওয়াশ করার।

     

     

    আজ সংবাদ সম্মেলনে ধবলধোলাইয়ের কথাটা মনে করিয়ে দিতেই রবিচন্দ্রন অশ্বিন চোখ একটু কপালে তুলে বললেন, "হোয়াইটওয়াশ? সেটা আবার কী!" ব্যাপারটা ব্যাখার পর ভারত স্পিনার মৃদু হেসে বললেন, "আমরা চাইব বাংলাদেশ যেন সেটা না পারে। ম্যাচটা জেতার সবরকম চেষ্টাই করব আমরা।" কিন্তু মুস্তাফিজুরকে কীভাবে ঠেকাবে ভারত? অশ্বিন মজা করে বলেছেন, "ওকে তো বোধহয় এখন অপহরণ করতে হবে।" আসলেই তো, মুস্তাফিজুর রহস্যের এটাই বোধহয় সবচেয়ে ভালো সমাধান।

     

     

     

    কিন্তু ভারতে এখন নিজেই নাকি গৃহবিবাদের সুর প্রকট। ভারতীয় প্রচারমাধ্যম জানাচ্ছে, টানা দুই ম্যাচ হারের পর দলের প্রথম একাদশ ও রণকৌশল নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে। বারবার ব্যর্থ রবীন্দ্র জাদেজা ও ভুবনেশ্বর কুমারকে কেন খেলানো হচ্ছে, সেটা নিয়ে ধোনির সঙ্গে দলের থিঙ্ক ট্যাঙ্কের একটা হালকা চাপান উতোর চলছে। সবকিছু মিলে ভারত নিজেই আছে চাপে।

     

     

     

    বাংলাদেশ দলের আবহটা একেবারেই যে অন্যরকম, সেটা বলে না দিলেও চলে। এর মধ্যেই সিরিজ জেতা হয়ে গেছে, কাল ফুরফুরে হয়েই নামতে পারছে। কিন্তু তাই বলে কী কালকের ম্যাচটা হালকাভাবে নেবে বাংলাদেশ ? নাসির হোসেন সেরকম সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিলেন, "প্রথম দুই ম্যাচের যে কোনো একটি হেরে গেলে আমাদের ওপর যেরকম চাপ থাকত, কাল আমরা নিজেদের ওপর সেরকম চাপ নিয়েই নামছি। শেষ খেলায় এতটুকু ছাড় দেওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই।" শেষ ম্যাচের আগে অবশ্য একটা পরিবর্তন আনতেই হচ্ছে বাংলাদেশের, শেষ ম্যাচের আগে চোটে পড়ে দল থেকে ছিটকে গেছেন তাসকিন। তাঁর জায়গায় দলে এসেছেন তরুণ লেগস্পিনার জুবায়ের।

     

     

    সেটা অবশ্য খুব একটা বড় কোনো সমস্যা হয়ে দাঁড়ানোর কথা নয়। চোটের কারণে বিশ্বকাপের বাংলাদেশের সেরা পারফর্মার মাহমুদউল্লাহকে ছাড়াই তো খেলেছে বাংলাদেশ। আরেকটা বাংলাওয়াশের আগে কোনো কিছুই এখন বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কথা নয়!