• বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ ২০১৫
  • " />

     

    মুস্তাফিজেই নতুন ইতিহাস বাংলাদেশের

    মুস্তাফিজেই নতুন ইতিহাস বাংলাদেশের    

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ ভারত ২০০/১০, ৪৫ ওভার (ধাওয়ান ৫৩, ধোনি ৪৭; মুস্তাফিজ ৬/৪৩, রুবেল ২/২৬, নাসির ২/৩৩); বাংলাদেশ ২০০/৪ (সাকিব ৫১*, সাব্বির ২২*; অশ্বিন ১/৩২)

     

    ফলঃ বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী (ডিএল মেথড)

     

    প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচঃ মুস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ)

     

    উনিশ বছরের একহারা গড়ন...প্রথম দেখায় মুস্তাফিজুর রহমানকে সাধাসিধে নিরীহ বালকের চেয়ে বেশী কিছু মনে হওয়ার কোন সুযোগ নেই। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি হয়তো তাই হবেন। তবে বাইশ গজের উইকেটে এই ‘গোবেচারা’ গোছের তরুণই কতোটা ভয়ঙ্কর হতে পারেন সেটা এখন কেবল আর ভারতীয় ব্যাটসম্যানরাই নন, জেনে গেছে গোটা ক্রিকেট বিশ্বই। একদিনের ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে অভিষেক দু’ ম্যাচেই পাঁচ উইকেট, প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম দু’ ম্যাচে ১১ উইকেট...বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান এই মুহূর্তে কেবলই এক বিস্ময়ের নাম। সে বিস্ময় পুঁজি করেই প্রথমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিলো বাংলাদেশ, তিন ম্যাচ সিরিজের শেষটি হাতে রেখেই।

     

    টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ভারতের ব্যাটিং লাইন আপে ইনিংসের প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন মুস্তাফিজ। থিতু হওয়ার আগেই রোহিত শর্মা ফিরে যান শূন্য রানে, পয়েন্টে সাব্বির রহমানের দর্শনীয় ক্যাচের শিকার হয়ে। দ্বিতীয় উইকেটে ধাওয়ান-কোহলি জুটি বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। তবে কোহলিকে (২৩) এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে সেটাও ভাঙেন নাসির হোসেন। ক’ওভার বাদে ওই নাসিরের বলেই লিটন দাসের প্রথম ডিসমিসালের শিকার হয়ে উইকেটের পিছনে ধরা দেন শিখর ধাওয়ান (৫৩)। পরের ওভারেই আম্বাতি রাইডুকে শূন্য রানে ফিরিয়ে সফরকারীদের আক্ষরিক অর্থেই বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেন রুবেল হোসেন। ১১০ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বিপর্যস্ত ভারত শিবিরে এরপরের সময়টুকু নিয়মিত বিরতিতে হানা দিয়ে যান মুস্তাফিজুর রহমান। উনিশ বছরের তরুণের কাটার আর স্লোয়ারে দিশেহারা ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা কেবল উইকেটে এলেন আর গেলেন। ইনিংসের শেষভাগে হানা দেয়া বৃষ্টির কারণে তিন ওভার কমে যাওয়ার পরও পুরো ওভার খেলার সৌভাগ্য হল না সফরকারীদের। ৪৫ ওভারে ২০০ রানেই গুটিয়ে যায় ধোনিদের ইনিংস।

     

    জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুরন্ত সূচনায় রানের চাকায় গতি আনেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। পরবর্তীতে লিটন, মুশফিকদের অবদান সঙ্গী করে বাংলাদেশ ৬ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সাকিব-সাব্বিরের ব্যাটে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন সাকিব আল হাসান। অপরপ্রান্তে সাব্বির নট আউট থেকে যান ২২ রানে। এর আগে সৌম্য, লিটন ও মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ৩৪, ৩৬ ও ৩১ রান।