• বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ ২০১৫
  • " />

     

    চ্যালেঞ্জটা কাল আরও বড়

    চ্যালেঞ্জটা কাল আরও বড়    

     

    শুধু একটা ম্যাচ নয়, দুই দলের দ্বৈরথটা একটা যুদ্ধ-যুদ্ধ রূপই নিচ্ছে। বাংলাদেশের কাছে ৭৯ রানের পরাজয় এমনিতেই ভারতের অহমে আঘাত দিয়েছে। ওই ম্যাচে ধোনি-মুস্তাফিজুরের ঘটনায় উত্তাপ ছড়িয়েছে আরও বেশি। এর মধ্যেই মুস্তাফিজুরকে কনুই দিয়ে ইচ্ছা করে আঘাত দেওয়ার জন্য ধোনিকে ৭৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। পরে মুস্তাফিজুরকেও করা হয়েছে ৫০ শতাংশ জরিমানা। দুই দলের মধ্যে এটা নিয়ে নাকি চাপা অসন্তোষও আছে। মুখে কেউ কিছু বলেননি, তবে কাল সেটার ঝাঁঝালো প্রকাশটা হয়তো দেখা যেতে পারে মাঠেই।

     

     

    প্রথম ম্যাচে মুস্তাফিজ চমক হয়েই এসেছিলেন। চার পেসার নামানোর ফাটকাটা পুরোপুরি কাজে লেগে গিয়েছিল মাশরাফির। ওই ম্যাচে তরুণ বাঁহাতি পেসারের বল একদমই পড়তে পারেননি রোহিতরা। কাল তাঁরা আঁটঘাট বেঁধেই নামবেন। রোহিত শর্মা তো হুংকারের সুরেই বলে দিলেন, "ওদের হারানোর কিছু নেই। নিজেদের মাঠে প্রস্তুত হয়েই নেমেছে তারা। তবে আমরা এখন জানি আমাদের ভুলগুলো কোথায় হয়েছে। কাল অন্যরকম একটা ভারতকেই দেখা যাবে।"

     

    দেশের মাটিতে সর্বশেষ নয় ম্যাচেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। রোহিতের এই হুংকারে তাই এই বাংলাদেশ একদমই ভয় পাচ্ছে না। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তো বলেই দিলেন, "দলের পারফরম্যান্সে আমি সন্তুষ্ট নই। গত ম্যাচে বেশ কিছু ভুল করেছি আমরা। পাকিস্তানের সঙ্গে তো আমরা আরও ভালো করেছি। পরের ম্যাচে আরও ভালো করব।"

     

    ভারতের সঙ্গে অবশ্য কিছু ব্যাপার নিয়ে হাথুরুসিংহে কাজ করতেই চাইবেন। দুর্দান্ত একটা শুরুর পর ওপেনারদের বিশেষ করে সৌম্যের মনোসংযোগ হারিয়ে ফেলার ঘটনা বারবারই ঘটছে। মুশফিক রানের মধ্যে নেই, সেটা হয়তো ছাপ ফেলেছে তাঁর কিপিংয়েও। গত ম্যাচে পাঁচটা ক্যাচ ধরলেও ধাওয়ানের দুই-দুইটি ক্যাচ ফেলে দিয়েছেন। লিটন দাসের হাতে গ্লাভস তুলে দেওয়া হবে কি না সেটাও হয়তো ভাবতে পারে থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। 

     

    তবে এসব সমস্যা তো থাকবেই। মাশরাফির দল তাই কাল ফুরফুরে হয়েই নামতে চাইবে মাঠে। প্রথম ম্যাচের পর কালও একই দল নিয়ে মাঠে নামার কথা বাংলাদেশের। তবে পরাজয়ের ব্যবচ্ছেদের পর ভারতে পরিবর্তন আসতেও পারে।